শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

রংপুরে শুকনো মৌসুমে জেগে উঠে চরে সবুজের সমরোহ, কৃষকদের মাঝে স্বস্থির নিঃশ্বাস

Reading Time: 2 minutes

হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর :
রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জেগে উঠা চরে সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে। এতে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হয়েছে। এসব ফসল কৃষকদের বাড়তি আয়ের পাশাপাশি এই অঞ্চলের অর্থনীতির গতি সচল রেখেছে। প্রতি বছর এঅঞ্চলে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে শত শত মানুষ নিঃশ্ব হয়ে পড়েন। এবার ফসল ভালো হওয়ায় কৃষকদের মাঝে স্বস্থির নিঃশ্বাস দেখা গেছে। রংপুর কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় তিস্তা, ব্র²পুত্র, ভটেশ্বরী, ধরলা, ঘাঘট, চারালকাটাসহ অন্যান্য নদ-নদীগুলোতে প্রায় এক লাখ হেক্টর জমির চর রয়েছে। এর মধ্যে আবাদযোগ্য জমির পরিমান ৫০ হাজার হেক্টরের কিছু বেশি। জেগে উঠা এসব চরের জমিতে আলু, ভুট্টা, গম, বাদাম, তিল, তিসি, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, করলা, সরিষা, সূর্যমুখী, গাজরসহ বিভিন্ন শাকসবজি অবাদ হচ্ছে। ফলে এখন চরের যেদিকেই তাকানো যাবে সে দিকেই দেখা যাবে সবুজের সমারোহ। চর এখন সবুজের বাগানে ভরে উঠেছে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এসব চরে আলু প্রতি হেক্টরে ২৪/২৫ মেট্রিন টন, ভুট্টা ১২/১৩ মেট্রিক টন, গম তিন থেকে সাড়ে ৩ টন, শাক সবজি প্রতি হেক্টরে ১৫ থেকে ২০ টন উৎপাদন হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে এসব ফসল ফলায় কৃষকরা বন্যার সময় প্লাবিত হওয়ার দুঃখ কিছুটা ভুলে য়াচ্ছেন। নদী পানি শূন্য হয়ে পড়ায় সেগুলো এখন আবাদী জমিতে পরিণত হয়ে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার চর মটুকপুর গ্রামের আব্দুল হালিম ও মহিপুর এসকেএস বাজারের শরিফুল ইসলাম, কালাম মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, বন্যার সময় তিস্তা দুইক‚ল ছাপিয়ে প্লাবিত করলেও শুকনো মৌসুমে ফসলের আবাদ করে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ আসে তাদের। চরে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে বাড়তি টাকায় অনেকে অনেক প্রয়োজন মিটাচ্ছেন। লক্ষীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হিল হাদি বলেন, চরের অধিকাংশ মানুষ এখন বিভিন্ন প্রজাতির ফসল উৎপাদন করে দারিদ্র্যতা দূর করছেন। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীর মহিষখোচা গ্রামের কৃষক আহম্মদ আলী ও লিয়াকত মিয়া বলেন, চরে পিঁয়াজ, ভ্ট্টুাসহ অন্যান্য ফসল ফলিয়ে তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে। এব্যাপারে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম বলেন, রংপুর অঞ্চলের চরে ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭৫ কোটি টাকার ওপরে। এতে কৃষকরা খুশি বলেও তিনি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com